*বিকল্প আয়ের পথ দেখাচ্ছে আদিবাসী গোষ্ঠী*
বাঁকুড়াঃ 'কুল গুঁড়া' বললেই অনেকেই জীভে জল আসতে বাধ্য। আর লোভনীয় সেই কুল গুঁড়াই বিকল্প আয়ের পথ দেখিয়েছে বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলের আদিবাসী মহিলাদের। দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল কুল গুঁড়া নিয়ে তাঁরা হাজির বাঁকুড়া শহরের দশের বাঁধের বাবা হংশেশ্বরের গাজনে।
দশের বাঁধের বাবা হংশেশ্বর গাজনে গিয়ে দেখা গেল জেলার রানীবাঁধ, ঝিলিমিলি এলাকা থেকে আসা আদিবাসী মহিলারা বস্তা ভর্তি কুলের গুঁড়া নিয়ে বসেছেন। আগ্রহী ক্রেতারা আসছেন এই কুল গুঁড়ো সংগ্রহ করতে। কারণ শুধুমাত্র চৈত্র সংক্রান্তীতে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বরের গাজন ও বৈশাখে দশের বাঁধের গাজনেই মেলে এই বিশেষ বস্তুটি। ফলে প্রায় সকলেরই সংগ্রহ করে তাড়া তো থাকেই।
ছাতনা থেকে শুধুমাত্র কুল গুঁড়োর টানে এই গাজনে ছুটে এসেছিলেন উত্তম কুমার চঁন্দ। তিনি বলেন, এই মেলার দু'দিন ছাড়া আর বছরভর পাওয়া যাবেনা। মূলতঃ চাটনি হিসেবেই ব্যবহার হয়। স্বাদ কেমন এই প্রশ্ন করায় এই প্রতিবেদকের উদ্দেশ্যে তাঁর সহাস্য জবাব 'খেয়েই দেখুননা'ই বলে দিচ্ছে কি অপূর্ব স্বাদ হতে পারে জঙ্গল মহলের মায়েদের হাতে তৈরী এই কুল গুঁড়োর।
রানীবাঁধ এলাকা থেকে এই কুল গুঁড়ো বিক্রি করতে আসা ফুল মনি হাঁসদা, বালিকা হেমব্রমরা বলেন, এই কুল গুঁড়ো তৈরীর পিছনে দীর্ঘ পরিশ্রম রয়েছে। জঙ্গল বা তার আশেপাশের এলাকা থেকে পাকা কুল সংগ্রহ করে তা রোদে শুকনো করতে হয়। শুকনো হয়ে যাওয়ার পর বাছাই শেষে ঢেঁকিতে গুড়ো করে চালুনীতে চেলে তা বিক্রির উপযুক্ত হয়। মূলতঃ বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বরে ও দশের বাঁধের বাবা হংশেশ্বরের গাজনে তাঁরা বিক্রি করেন বলে জানান।
May 05 2023, 14:23